ইংরেজদের অধীনতায় দীর্ঘ ১৯০ বছর ছিল আমাদের দেশ। এই পরাধীনতার গ্লানি দেশের মানুষ কখনই মেনে নেয় নি। বিশেষ করে ছাত্র যুব সমাজ ব্রিটিশ শাসকদের অবজ্ঞা অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছিল, তাদের সঙ্গ দিতে দ্বিধা করেনি বাড়ির মা-বোনেরাও। কেবল দেশের নানা প্রান্ত থেকেই নয়, দেশের বাইরেও প্রবাসী ভারতীয়রা এই পরাধীনতার হাত থেকে নিজের দেশকে মুক্ত করবার জন্য বিপ্লবীদের নানারকমের সহায়তা কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছেন। ধর্ম-বর্ণ-বিত্ত-বৃত্তি-সম্প্রদায় নির্বিশেষে দেশের মানুষ সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির তাগিদে। তাঁদের কেউ কেউ অহিংস পথে আন্দোলন চালিয়েছেন, আবার কেউ কেউ সশস্ত্র বিপ্লবের পথ বেছে নিয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কেউ ছিলেন গান্ধীজীর অনুসারী, কেউ ছিলেন বামপন্থায় বিশ্বাসী, আবার কেউ ছিলেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী। কিন্তু দেশপ্রেম ও পরাধীনতা মোচনের লক্ষ্যে এঁরা সবাই ছিলেন এক ও অভিন্ন। একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন স্রোতে চলতে থাকা এই স্বাধীনতা আন্দোলন যত তীব্র হয়েছে, ততই বেড়েছে ইংরেজ শাসকের দমন-পীড়ন। কিন্তু নিজেদের আত্মীয় পরিবার ও যাবতীয় সুখসমৃদ্ধি তুচ্ছ করে, নিজেদের ভবিষ্যতের তোয়াক্কা না করে এই মানুষগুলি কারাগারের অকথ্য অত্যাচারকে মাথা পেতে নিয়েছে, লালমুখোj সাহেবদের কাছে মাথা নত করেনি। নতুন ভারত গঠনে র লক্ষ্যে নয়া প্রজন্মের ছাত্রযুবদের জন্য এই সব বলিদানের কাহিনি জানাটা আজ অত্যন্ত জরুরি।
আইএসবিএন: | ৯৭৮-৮১-৯৬৩৫৭২-৭-৬ |
প্রকাশের তারিখ: | আগস্ট, ২০২৩ |
পৃষ্ঠা: | ২৬৪ |
ভাষা: | বাংলা |
বাঁধাই: | হার্ডবাউন্ড |