গোড়ায় ৫১ পীঠ দর্শনের কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য লেখকের ছিল না, স্রেফ বেড়ানোর নেশাতেই বেরিয়ে পড়তেন। তবে দেশ বিদেশের প্রাচীন ধর্মীয় পীঠস্থানগুলি দেখে বেড়ানোই ছিল লেখকের প্রাথমিক পছন্দের পর্যটন। এভাবে দেখতে দেখতে অনেকগুলি দূরবর্তী শক্তিপীঠ দর্শন হয়ে যাওয়ার পর তাঁর উপলব্ধি হলো যে কাছের পীঠগুলিও ঘুরে দেখা যায়। তখন পর্যটক বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একে একে সেগুলি দেখার ব্যবস্থা হলো। ৪৮ বছর বয়সে পৌঁছে সাংসারিক দায়দায়িত্ব যখন হালকা হয়ে গেল, তখন শুরু করেছিলেন তাঁর বেড়ানোর পর্ব। ক্রমে বয়স বাড়ল, পায়ের অবস্থা ভালো নেই, তবু স্রেফ মনের জোরে শেষ কয়েক বছর কিছু পীঠ দর্শন লাঠিতে ভর করেই সম্ভব হয়েছে। এভাবেই কেটে গিয়েছে তিরিশ বছর। বেড়ানোর সময় তিনি নিয়মিত ডাইরি লিখতেন। একে একে যখন ৫১ পীঠের সবগুলোই দেখা হয়ে গেল তখনই এই পরিক্রমাগুলি নিয়ে লেখার ইচ্ছে মনে এল। একটি দৈনিক পত্রিকার ফিচার পাতায় ধারাবাহিকভাবে বেরোবার পর অবশেষে তা দু মলাটে সংকলিত হলো। ভারতীয় উপমহাদেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সবকটি সতীপীঠস্থানে সশরীরে পৌঁছনো কঠিন কাজ হলেও লেখক ইহজীবনেই তা সম্ভব করেছেন, এবং তার স্বচ্ছ বর্ণনা দিয়েছেন সরল বাংলা ভাষায়। সেদিক থেকে বইটির গুরুত্ব অমূল্য বৈকি।
ISBN: | 978-81-956532-9-4 |
Publish Date: | June, 2025 |
Page: | 200 |
Language: | Bengali |
Binding: | Hard Board |