একটি রাজ্য যার অরণ্যের প্রাচুর্য মোট ভূখণ্ডের ৮২ শতাংশ, যে অরণ্যের জীব বৈচিত্র্য দেশের আর সব রাজ্যকে টেক্কা দিতে পারে৷ ছাবিবশটি জনজাতি এবং একশোর বেশি উপজাতিতে সমৃদ্ধ এবং নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যে যে রাজ্য নিঃসন্দেহে অতুলনীয়ক্ষ্ম৷ এই জনজাতিদের ভাষা, রূপশৈলী, কৃষ্টি এবং সংসৃকতির সঙ্গে মেল বন্ধন ঘটেছে তাদের হস্তশিল্প ও অপূর্বসুন্দর সাজ পোশাকের, যা সমগ্র বিশ্ববাসীকে চমৎকৃত করে৷ যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র মঠ-মন্দির, গুম্ফা, স্তূপ এবং বৌদ্ধমন্দির, এবং বিভিন্ন প্রান্তিক কোণে আজও সজীব হয়ে রয়েছে প্রাচীন তন্ত্র-মন্ত্র সাধনা এবং আদিমতম ধর্মীয় রীতি-রেওয়াজ ও প্রকৃতির পূজা৷ শুভ্র বরফে ঢাকা সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, গভীর অরণ্যে ঘেরা দুর্গম শ্বাপদসংকুল পাহাড় আর তার ফাঁকে ফাঁকে বয়ে চলা রুপোলি নদী--- সব মিলিয়েএখানে যে আদিম রহস্যময় পরিবেশ গড়ে তুলেছে প্রকৃতি তার তুলনা সমগ্র ভূ-ভারতে নেই৷ প্রকৃতিভিত্তিক পর্যটন শিল্পে অরুণাচল প্রদেশ এক অতি সম্ভাবনাময় রাজ্য, বলাই বাহুল্য৷ কিন্তু পর্যটন বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে গড়ে তোলা প্রয়োজন এই অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ ও দুর্লভ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতাও৷ এ রাজ্যে এখনও বহু জনজাতির মানুষ পশু শিকারে অভ্যস্ত৷ তাদের নিজেদের ভবিষ্যত প্রজন্মের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই যে এই প্রাচীন আত্মঘাতী অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে--- এই সচেতনতা সে রাজ্যের মানুষের মনে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই গত কয়েক দশক ধরে বারবার সে রাজ্যের নানা প্রান্তে গিয়েছেন প্রতিবেশি অসম রাজ্যের দীর্ঘকাল যাবৎ প্রকৃতি সংরক্ষণে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী সৌম্যদীপ দত্ত৷ তাঁর সুললিত কলমে ধরা পড়েছে যে অনাঘ্রাত অরুণাচলের একাংশ, তা কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে আসা বাইরের পর্যটকের পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয়৷ এই বই এর আগে ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে, পর্যটনপ্রেমী বাংলাভাষীদের জন্যই এবার তা অসমিয়া থেকে বাংলায় ভাষান্তর হল৷
আইএসবিএন: | ৯৭৮-৮১-৯৬৩৫৭২-১-৪ |
প্রকাশের তারিখ: | মে, ২০২৩ |
পৃষ্ঠা: | ১৭৬ |
ভাষা: | বাংলা |
বাঁধাই: | হার্ডবোর্ড |